,

শ্যামনগর কৈইখালী ৪৪ বছর পর সীমানার ঝামেলা নিষ্পত্তি

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ কৈখালী ইউনিয়নের অন্তর্গত বৈশখালী গ্রামে কৈখালী বন্দোবস্ত এস এ -৭ দাগের মধ্যে সঠিক কাগজপত্র। অনুযায়ী,ও স্কেচ ম্যাপ অনুসারে ৬৬ শতক জমি উভয় পক্ষ পরস্পর প্রতিবেশী আমানত ও মোরশেদ গাজী, ( প্রতিবন্ধীর মোরশেদ গাজীর) মধ্যে ৪৪ বছর যাবত বসতভিটা জমি নিয়ে বিরোধের কারণে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন স্থানে। মোরশেদ গাজী ন্যায্যভাবে জমি পাবার জন্য আবেদন করেন। বিপক্ষগণ প্রভাবশালী হওয়ায় ন্যায্য বিচার থেকে বঞ্চিত হওয়ার পর, সর্বশেষ ইংরেজী তারিখ ০৩/০৮/২৩ কমিশনার ভূমি বরাবর মোরশেদ গাজীর পুত্র আব্দুল আলিম লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। ভূমি কমিশনার মহোদয় বিষয়টি আমলে নিয়ে স্থানীয়ভাবে মীমাংসার জন্য স্মারক ১১/০২/২৩ – ৭৯৫ কৈখালী তফসিল অফিস বরাবর প্রমাণ করে । নোটিশ এর মাধ্যমে অবগত পূর্বক কাগজপত্র পর্যলোচনা পূর্বে মাপ জরিপ আনতে ১৩ শতক জমি বেশি ভোগ দখলে থাকাই। অতিরিক্ত জমি মোরশেদ গাজীকে বুঝিয়ে দেওয়ার প্রস্তাব করলে দৃড় ভাবে প্রত্যাখ্যান জেরে এবং জোর জবর দখল করার হুমকি ও গালিগালাজ করলে এম, এ, টি, এম আয়নুল হক ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা স্মারক নং ৫৯২, তারিখ ১৩/০৬/২০২৩ বন্দোবস্ত নীতিমালায় লংঘন কারী আমানত গাজীর দলিল বাতিল করার প্রস্তাব করেন। এ ছাড়া মোরশেদ গাজীর পুত্র মিলন সরকারি কমিশনার সার্ভিয়ার কর্তৃক মাপ জরিপের আবেদন করেন। সহকারী কমিশনার মোঃ আসাদুজ্জামান ও সার্ভিয়ার মোঃ সজল হোসেন উভয় পক্ষের কাগজপত্র পর্যলোচনা করে দেখেছেন, যে মোঃ মোরশেদ গাজী ভূমিহীন পরিবার হিসেবে ০১/০৯/১৯৮৩ তারিখ ১৯৮৫ থেকে ৯৯ বছর মেয়াদে কৈইখালী মৌজার ০১ নং খতিয়ানের ৭৬০ দাগে ৬৬ শতক জমি স্হায়ী বন্দোবস্ত দেওয়া হয়। একই দাগে বিপক্ষগনের ১৪/০৪/১৯৯২ – ৯২ শতক জমি স্হায়ী বন্দোবস্ত দেওয়া হয়। বন্দোবস্ত প্রতিক্রিয়ায় স্কেচ ম্যাপ অনুসারে এসিল্যান্ড ও সার্বিয়ার কর্তৃক ৬৬ শতক জমির সীমানা করে লাল পতাকা দিয়ে খুঁটিগেড়ে দেয়। জমির কিছু অংশ আমন ধান থাকায় ফসল সংগ্রহের পর স্ব স্ব স্থানে ভোগ দখলের আদেশ প্রদান করেন। সেই আদেশ অনুযায়ী ফসল সংগ্রহের পর লাল নিশানা বরাবর ঘেরা দিয়ে মোরশেদ গাজী ভোগ দখল করেন। প্রতিবন্ধি মোঃ মোরশেদ গাজীর পরিবার ও এলাকা বাশি ৪৪ বছর পর দীর্ঘ দিনের বসতভিটার সীমানাজুড়ে যে ঝামেলা নিষ্পত্তি করেছেন। ভূমি কমিশনার মোঃ আসাদুজ্জামান ও সার্ভিয়ার মোঃ সজল হোসেন এমন আইনগত ব্যবস্থাগ্রহণে এলাকা বাশি কৃতজ্ঞতা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *